‘পাট শিল্পে অবদান স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সোনালী আঁশ পাটের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসাবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। পরিবেশবান্ধব হিসেবে পাটের গুরুত্ব বিবেচনায় পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য বর্তমান সরকার বিনামূল্যে পাটের বীজ বিতরণ করছে। বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর পতিত জমি রয়েছে। সেই জমিতে যদি পাট চাষ করা হয় তাহলে মানুষের যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে, তেমনি বাড়বে রপ্তানি আয়।

পুলক কুমার মন্ডল বলেন, পাটের পণ্য ব্যবহারে সবাইকে সচেতন করতে হবে। পলিথিন পরিবেশের জন্য যে ক্ষতিকর, তা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সবাইকে জানাতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য ২০২৩ এবং সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, বিজেএমসির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. কালাম মল্লিক, খুলনা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির, জুট গুডস মার্চেন্ট অ্যাসেসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, পোল্টি ও ফিস ফিড দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সোহবার হোসেন বক্তব্য দেন।