কুমিল্লার দেবিদ্বারে দরিদ্রদের জন্য নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর কথা বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। 

চক্রটি বিশজন আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ওই পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

এ ঘটনায় উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল আউয়াল বাদী হয়ে অজ্ঞাত প্রতারক চক্র ও তাদের ব্যবহৃত তিনটি ফোন নম্বর উল্লেখ করে আজ সোমবার দেবিদ্বার থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, সুবিল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আউয়াল সরকারের কাছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের একজন কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দেয় প্রতারক চক্রের এক সদস্য। ফোনে সে কয়েকশ দরিদ্র মানুষকে নগদ ৪ হাজার ২০০ টাকা, ৩০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫ কেজি সয়াবিন ও একটি করে কম্বল দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ নেওয়ার অনুরোধ করে।

তাঁরা আরও জানান, প্রতারকরা প্রথমে দরিদ্র মানুষের নামের তালিকা চায়। এরপর তাদের ফরম ও অফিস খরচ বাবদ মাথা পিছু ৪৫০ টাকা করে দাবি করেন।  ৫০ কার্ডের জন্য ২২ হাজার ৫শত টাকা অগ্রীম জমা দিতে হবে জানিয়ে ওই প্রতারক বলে, ৫০ কার্ডের বিপরীতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা ১০টি কার্ডের টাকা ও বিনামূল্যে মালপত্র পাবেন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কার্ডও নিতে পারেন। ওই লোভনীয় প্রস্তাবে অনেকেই তাদের দেয়া বিকাশ ও নগদ নম্বরে গত বুধবার ৫ হাজার, ১৫ হাজার, ২১ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা করে দেন। পরে বাকি টাকা পরিশোধের শর্তে শুধু তিনি (আউয়াল) ৫ হাজার টাকা পাঠান।

জানা যায়, একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম (৬৫) প্রতারকদের কথায় বিশ্বাস করে ১৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান। একইভাবে ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার সরকার (৫০) ২১ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। মাসুদ নামে আরেক যুবলীগ নেতা ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। টাকা নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর প্রতারকদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছেন। প্রতারণার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।