ব্যক্তিগত আক্রমণ ও হেনস্তার অভিযোগ এনে উপাচার্য বরাবর পাল্টা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী ফাইজা মাহজাবিন। সোমবার বিচার চেয়ে উপাচার্য বরাবর আবেদন করেন তিনি।

এর আগে গত শনিবার হলের আসন বরাদ্দকে কেন্দ্র করে হল প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান ও ফাইজার মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে রোববার প্রাধ্যক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার পাল্টা অভিযোগ দেন ছাত্রলীগ নেত্রী।

অভিযোগপত্রে ফাইজা বলেন, ‘বিগত তিন মাসে তিনি (প্রাধ্যক্ষ) নানাভাবে আমাকে হেনস্তা করেছেন। কখনও তিনি বিনা অনুমতিতে ঠুনকো অজুহাতে আমার কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে বিব্রত করেছেন, কখনও পূর্ব নোটিশ ব্যতীত কক্ষের ব্যক্তিগত লকার চেক করেছেন। একজন পুরুষ শিক্ষকের হুটহাট আমার কক্ষে প্রবেশের বিষয়টি আমাকে প্রায় সময় বিব্রত করে। এসব ঘটনাকে আমি ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করি। এ ছাড়া অন্যান্য নারী শিক্ষার্থীদের কক্ষেও তিনি প্রায়ই অবাধে প্রবেশ করেন। এ সব বিষয়ে এবং হলের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রাধ্যক্ষ আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় অশালীন মন্তব্য এবং অপমানজনক আচরণ করেছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় তিনি আমার ওপর প্রায়ই ক্ষোভ ঝাড়তেন।’


তবে অভিযোগুলোকে ভিত্তিহীন দাবি করে প্রাধ্যক্ষ সাহেদুর রহমান সমকালকে বলেন, ‘সত্য ঘটনাকে ঢাকার জন্য আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি মেয়েদের কক্ষে যাওয়ার আগে কোনো মহিলা আবাসিক শিক্ষক বা আমাদের হলের একজন মহিলা কর্মচারী আছেন তাকে অনুমতির জন্য পাঠাই। তারা অনুমতি নিয়ে আসলে তারপর আমি কক্ষে যায়। বিভিন্ন কক্ষের নষ্ট লকার ঠিক করতে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ঠিক করা হয়েছে কি-না তা চেক করার জন্য আমি লকার দেখেছি।’

তবে ফাইজা বলেন, ‘প্রাধ্যক্ষ যে রুমে ঢুকে মেয়েদের হেনস্তা করেন এটা অনেকে মেয়েই জানে। আমাকে হেনস্তা করেছে, আমি এর বিচার চাই।’

ছাত্রলীগ নেত্রীর অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি দুইটি অভিযোগই পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।