- সারাদেশ
- ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার
ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার নয়ন ইসলাম।
বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষার জাল প্রশ্নপত্র এবং প্রবেশপত্র তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা নয়ন ইসলামকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড, পরীক্ষার প্রবেশপত্র, জীবন বৃত্তান্ত ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে যশোরের বেনাপোল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নয়ন ইসলাম রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আচিনঘাট এলাকার আজগর হোসেন মন্ডলের ছেলে। তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপশহর এলাকায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, নয়ন ইসলাম নিজেকে কখনো চিকিৎসক, কখনো সরকারি কর্মকর্তা ও এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন।
বুধবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে এক সংবাদ এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক।
তিনি বলেন, আসন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া এবং বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্যরা নগরীর নিউমার্কেট এলাকার পিজি টাওয়ারের বিল্ডিংয়ে অবস্থান করছে- এমন সংবাদে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালানো হয়। কিন্তু জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যান। পরে ফ্ল্যাটের মালিকের মাধ্যমে জানা যায়, ভাড়াটিয়ার নাম নয়ন ইসলাম। তিনি নিজেকে কখনো ডাক্তার, কখনো সরকারি কর্মকর্তা ও এনজিও কর্মী পরিচয় দেন। অনেকে এখানে আসা-যাওয়া করে।
বিজয় বসাক বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ প্রতারক চক্রের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে নয়নসহ চক্রের সদস্যরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশের সব বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে বিশেষ পত্র পাঠানো হয়। কিন্তু নয়ন এর আগেই ভারতে পালিয়ে যান। গত ৬ মার্চ বিকেলে যশোর জেলার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আসামি নয়ন ইসলাম দেশে ফিরলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর পুলিশ বেনাপোল পোর্ট থানায় গিয়ে নয়নকে গ্রেফতার করে রাজশাহী নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার নয়ন জানান- তার সহযোগী পলাতক আসামি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলর বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সনেট ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন থেকে চারজন এ প্রতারণায় জড়িত। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পেনাল কোডে মামলা করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন