বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও আনসার সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

ইমিগ্রেশনে প্রবেশের সময় পিছন থেকে মেহমান পরিচয়ে পাসপোর্টধারী চার যাত্রীকে সামনে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এমন আচরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অন্য যাত্রীদের মধ্যে। 

বন্দরের শৃঙ্খলা ঠিক রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এপিবিএন, আনসার ও পিমা নামের একটি বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্তর্জাতিক বন্দর হওয়ায় প্রতিদিন সকালে চেকপোস্টে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব বাহিনীর সদস্যরা প্রায়ই নানা অনিয়ম করে। মাঝেমধ্যেই অনেক পাসপোর্টধারী যাত্রী লাইনে না দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের টাকা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন।

বুধবার সকালে এ ধরনের ঘটনা নিয়েই উত্তেজনার সূত্রপাত। মেহমান পরিচয়ে চার যাত্রীকে লাইনের পেছন থেকে সামনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এপিবিএন সদস্যরা। আনসার সদস্যরা বাধা দিলে উভয় বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই বাহিনীর সদস্যরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

এ সময় এপিবিএনের এক সদস্য অস্ত্র আনতে দৌড়ে আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালে তাদের ক্যাম্পে গেলে আনসার সদস্যরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান কবির, বন্দর থানার ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া ও বিজিবি সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তারা পরিস্থিতি শান্ত করেন। 

এদিকে এপিবিএন ও আনসার সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইমিগ্রেশন ওসি আহসান কবির।

বন্দর থানার ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন, এপিবিএন ও আনসার সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে আমি দ্রুত প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে যাই। এরপর দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো বাহিনী তদন্ত কমিটি গঠন করেনি।