
মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের চিকিৎসা করাতে মেয়ের বাসায় নিয়ে এসেছিলেন মা জোসনা বেগম (৬০)। সেখানেই তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে সাখাওয়াত হোসেন মাসুম (৩০)। ঘটনার পরপরই তাকে আটক করে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানা পুলিশ।
আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে দেওলিয়াপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত জোসনা বেগম জেলার কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের ঘোষেরকান্দি এলাকার খলিলুর রহমানের স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, দেওলিয়াপাড়ার মুনসের মেমোরিয়াল পাবলিক স্কুলের পাশে ভাড়া থাকেন নিহতের মেয়ে খাদিজা বেগম। তিন দিন আগে সেখানে ছেলে মাসুমকে নিয়ে আসেন জোসনা। বুধবার সকালে ভাইয়ের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নিতে এক চিকিৎসকের কাছে যান খাদিজা। বাসায় রেখে যান মা ও ভাইকে।
খাদিজার স্বামী বজলুর রহমান মজিদ বলেন, অনেক দিন ধরেই তাঁর শ্যালক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। ৬ ফেব্রুয়ারি মাসুমের চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকার মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান মা জোসনা। তবে শারীরিক অবস্থা দুর্বল হওয়ায় চিকিৎসকরা ফিরিয়ে দেন। তাঁরা কিছুটা সুস্থ হলে সেখানে নিয়ে ভর্তি করাতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
একটি সূত্র জানায়, জোসনা বেগম বারান্দায় হাঁটছিলেন। হঠাৎ তাঁকে ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় মাসুম। পরে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে মাকে হত্যা করে। এ সময় জোসনার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে ছেলে মাসুমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কোনাবাড়ী থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, মাসুম মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। চিকিৎসার জন্য আগে তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শের জন্য ছেলেকে নিয়ে মেয়ের বাসায় এসেছিলেন জোসনা। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাসুমকে আটক করা হয়েছে। মামলা করা হলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
মন্তব্য করুন