খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের এএসআই নাঈম শেখকে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া হামলার শিকার ডা. নিশাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে করা ‘মিথ্যা’ শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।   

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখার উদ্যোগে বিএমএ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়। সভায় বিএমএ সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর একটি ক্লিনিকে ডা. নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন এএসআই নাঈম। মেয়ের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে ওই হামলা চালান তিনি। এ ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি ডা. নিশাত মামলা করলেও পুলিশ এখনও হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেনি। 

হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ১ মার্চ ভোর ৬টা থেকে খুলনার সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করে বিএমএ। পরে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামালের আশ্বাসে ৪ মার্চ এক সপ্তাহের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। 

বিএমএ সভাপতি বলেন, ডা. নিশাত মামলা করার পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও সন্তানের অঙ্গহানির অভিযোগ তুলে মামলা করেন এএসআই নাঈমের স্ত্রী। ওই মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী শনিবার বিএমএর সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভার পর সিটি মেয়রের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএমএর সহসভাপতি ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ, ডা. হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ, ডা. কুতুব উদ্দিন মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী, ডা. সাইফুল্লহ মানসুর প্রমুখ।