দেশের জনগণ বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের খুব দ্রুত বিদায় দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। রাস্তাঘাটে পথে, মাঠে, সমাবেশে প্রত্যেক জায়গায় আজ একটা প্রশ্ন- এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে কবে বিদায় দিবেন? আমরা নিশ্বাস ফেলতে পারছি না। আরও কিছুদিন এ অবৈধ সরকার যদি থাকে আমরা কেউ বাঁচব না। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় প্রতিটি দিন অতিবাহিত করছি, আমাদের মুক্তি দিন। দেশকে মুক্ত করেন। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের ম্যাসেজ।’

শনিবার নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসুচিতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মী অংশ নেন। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা  তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

অন্যদিকে শনিবার সকালে নগরের কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, কোনও পাতানো নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না, হতে দেওয়া হবে না। দমন-পীড়ন যত বাড়বে আন্দোলন তত বেশি বেগবান হবে। সরকার কখনও ২০১৮ সালের মত রাতের ভোটে, কখনও ২০১৪ সালের মতো বিনাভোটে, আবার কখনও ব্রাক্ষণবাড়িয়ার উপনির্বাচনের মতো সাত্তার মার্কা পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার পথ খুঁজছে। এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা এনামুল হক, ইদ্রিস মিয়া, ইফতেখার মহসীন, মোশারফ হোসেন, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, কর্ণফুলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মামুন মিয়া, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর, মঞ্জুর আলম প্রমুখ।