- সারাদেশ
- চার লাখ টাকার চুক্তিতে সিএনজিচালক আবদুল হাকিমকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৮
চার লাখ টাকার চুক্তিতে সিএনজিচালক আবদুল হাকিমকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৮

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সিএনজি অটোরিকশার চালক আব্দুল হাকিমকে (৩৫) জবাই করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন শনিবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, ডিআইও-১ মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মুহিউদ্দিন মাছুমসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তার আটজন হলেন- নোয়াখালীর সদর উপজলার পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মো. মহিন (২৭), পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মো. কামাল ওরফে কামাল ডাকাত (৩৮), হারুন মোল্লা বাড়ির মো.আজাদ হোসেন (৩২), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের রিপু মিয়া (২১), জাহিদ হাসান (২৮), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সোহেল হোসেন ওরফে শাকিল (২৪), একই গ্রামের মমিন উল্যাহ (৩৭) ও নূর আলম মিস্ত্রি (৫৫)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে নিহত সিএনজি চালক আব্দুল হাকিমের পূর্ব শক্রতা ছিল। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আব্দুল হাকিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। এর অংশ হিসেবে চার লাখ টাকার লোভ দেখিয়ে আব্দুল হাকিমের সিএনজির মালিক মহিনকে ব্যবহার করা হয়। ঘটনার দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী মালিক মহিন তার বাড়িতে নিহত আব্দুল হাকিমকে কৌশলে ডেকে নেন। এর এক পর্যায়ে হাকিমের মুখ বেঁধে ফেলেন। পরে আসামিরা তাকে চরমটুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পেছনের মাঠে নিয়ে হাত-পা বেঁধে জবাই করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে পাশের সয়াবিন ক্ষেতে মাটি চাপা দেন। পরদিন (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রমিকরা মাটি চাপা অবস্থায় আবদুল হাকিমের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুবিনা বেগম বাদী হয়ে গত ২ মার্চ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, আসামি সোহেলের ভাষ্যমতে, আসামি রিপুর বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শাবল ও কোদাল উদ্ধার করা হয়। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আসামি মহিনের সঙ্গে চার লাখ টাকা চুক্তি করেছিলেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে রিপু ও সোহেল ওরফে শাকিল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মুহিউদ্দিন মাছুম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি আজাদকে জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেল ও রিপুকে চট্রগ্রামের লালখান বাজার এবং জাহিদ ও শাকিলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন