ফুলবাড়ীর বিমান (ড্রোন) তৈরি করা সেই সবুজ সরদার পেলেন কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ প্রথম পুরস্কার। রোববার গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বিজয়ী সবুজের হাতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে  ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। 

এ বছর ৬ জন উদ্ভাবকের ৭টি উদ্ভাবন বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ‘কীটনাশক ছিটানো ড্রোন’-এর উদ্ভাবক মো. সবুজ সরদারকে প্রথম পুরস্কার; ‘গাছ হতে চিনাবাদাম ছাড়ানো যন্ত্র’-এর উদ্ভাবক মো. আল হেলাল, ‘বাদাম মাড়াই মেশিন’-এর উদ্ভাবক মো. নবাব আলী মণ্ডল, ‘অটো মাশরুম স্পন তৈরি মেশিন’-এর উদ্ভাবক মো. আজমল হককে দ্বিতীয় পুরস্কার এবং ‘তেল মিল (চেম্বার সিস্টেম)’-এর উদ্ভাবক মো. মাহফুজুর রহমান, ‘স্মার্ট ইউনিভার্সাল সিড ক্লিনিং অ্যান্ড ডিসইনফেকটিং মেশিন’-এর উদ্ভাবক এম এইচ এম মাজেদুর রহমান, ‘মেজার সয়েল হিউমিডিটি অ্যান্ড পাম্প কন্ট্রোল রিমোটলি’-এর উদ্ভাবক মো. আজমল হককে তৃতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়।

ফুলবাড়ী উপজেলার দরিদ্র ভ্যানচালক মো. একরামুল সরদারের ছেলে সবুজ সরদার। সে দিনাজপুর উত্তরণ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগে প্রথম বর্ষের ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল নিজের তৈরি বিমান আকাশে উড়ানোর। সেই শখ থেকেই চালকবিহীন ড্রোন তৈরি তার। দৈনিক সমকালসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রচার হয়। সংবাদটি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপিকন্যা ফারজানা রহমান শিমলার নজরে এলে তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন। সবুজের আবিষ্কৃত সেই ড্রোনটিই হলো কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণের জন্য মনোনীত প্রথম পুরস্কার।

সবুজের কৃতিত্বে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছামেদুল ইসলাম বলেন, দরিদ্র ঘরে জন্ম নেওয়া সবুজ সরদার পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও এগিয়ে যাবে। তার ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি আশা করছি।