- সারাদেশ
- সাংবাদিককে ডেকে এনে পেটালেন কাউন্সিলর
সাংবাদিককে ডেকে এনে পেটালেন কাউন্সিলর

নরসিংদীর পলাশে এক সাংবাদিককে রাস্তা থেকে ডেকে এনে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। রোববার দুপুরে পলাশ উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ভেতর এই মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফারদিন হাসান দিপ্তর (২০) মা আফিয়া বেগম বাদী হয়ে পলাশ থানায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন থেকে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
জাহিদ উপজেলার দড়িহাওলা পাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে ও ঘোড়াশাল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
সাংবাদিক দিপ্ত একই গ্রামের প্রবাসী নূর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য।
দিপ্ত জানান, দুপুর ১টার দিকে তিনি উপজেলা পরিষদের পুকুর পাড়ের সামনের রাস্তায় তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় পাশের একটি নিমার্ণাধীন ভবন থেকে কাউন্সিলর জাহিদ দু’জন লোক পাঠিয়ে তাঁকে ডেকে আনতে বলেন। এ সময় দিপ্ত তাঁদের একটু পরে দেখা করছেন জানালে কাউন্সিলর জাহিদ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে জোর করে নির্মাণাধীন ভবনে ভেতর তুলে আনেন। পরে সেখানে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই জাহিদ তাঁকে চড়থাপ্পড় ও কিল-ঘুসি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে ভবনের ভেতর নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বেলচা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে বেয়াদবি করেছেন বলে পায়ে ধরিয়ে মাফ চাইয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় আহত দিপ্ত অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহিদ হাসান বলেন, তাঁকে (দিপ্ত) ডেকে আনার পর তাঁর সঙ্গে বেয়াদবি করায় তাঁকে শাসন করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পলাশ উপজেলা প্রেস ক্লাব ও উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকরা। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তাঁরা।
পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাত আরও তিন থেকে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন