- সারাদেশ
- জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৮
স্বপ্নপুরীতে ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ
জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৮

মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে শিক্ষা সফরে এসে হামলার শিকার হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় মামলা করেন এক ছাত্রী। অভিযোগ পেয়েই তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মামলার আট আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য জানান দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ মো. জিন্নাহ আল মামুন। তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই শিক্ষার্থীর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা অনেকটা ভালো।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো– দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুরের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে সবুজ রানা, একই উপজেলার কুশদহের আবদুল গফুরের ছেলে রেজওয়ান আহম্মেদ, তহিদুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক, শিবপুর এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, খালিদপুর এলাকার সূর্য মণ্ডল কিস্কুর ছেলে প্রভাশ কিস্কু, রহিমাপুর এলাকার মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, খসিলামপুর এলাকার সাইরুদ্দিনের ছেলে মানিকুল ইসলাম ও জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবির মৃত সুলতানের মেয়ে সালমা আক্তার।
ভুক্তভোগীরা বলেন, শনিবার জবির ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ৮৩ জন দিনাজপুরে শিক্ষা সফরে আসি। পরদিন মধ্যপাড়া পাথর খনি, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিসহ বিভিন্ন এলাকায় মাঠকর্ম শেষে বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীতে যাই। সেখানে একটি রাইড উপভোগ শেষে দুটি ব্যাগ ফেলে আসেন দুই ছাত্রী। কিছুক্ষণ পর ওই ছাত্রীরা ব্যাগ দুটি আনতে গেলে রাইডের কর্তব্যরতরা তাঁদের উত্ত্যক্ত করে। ছাত্রীরা বিষয়টি সহপাঠীদের জানালে অন্যরা প্রতিবাদ করেন। এতে ওই লোকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এতে তিন শিক্ষকসহ ১০ জন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাতেই এ ঘটনায় আটজনের নামে মামলা করা হয়।
জবির সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ ধরনের মাঠকর্ম করার জন্য বিভিন্ন জেলায় যাওয়া হয়। তবে এবারই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটল। স্বপ্নপুরীর স্টাফরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের মারধর করেছে এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় আমরা রেহাই পাই এবং তারাই আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ কর্মকর্তা আল মামুন জানান, দিনাজপুর মেডিকেলে ভর্তি জবি শিক্ষার্থী আরাফাত ও তালহার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য পুলিশ বিষয়টি সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।
মন্তব্য করুন