ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় দুস্থ ও অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে ডিলার কামাল হোসেন জমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে।  মঙ্গলবার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া বাজার থেকে তাঁকে আটক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

কয়েকজন সুবিধাভোগী বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি সেখানে গিয়ে অসংগতি দেখতে পান। পরে চাল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ছয় ইউনিয়নে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ১৯৫ জন। তাঁদের প্রত্যেকে ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। মার্চ মাসে ১২২ টন ৩৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ছয় ইউনিয়নে ৯ জন ডিলারের মাধ্যমে কার্ডধারীদের মধ্যে এসব চাল বিক্রি হচ্ছে।

ভুক্তভোগী আকলিমা বেগম, মামুন হাওলাদার, মোশারফ হোসেন, খোকন মুন্সী, আবদুল হালিম, মোহাম্মদ আলী, পরিমল চন্দ্র, অমৃত রায়, সঞ্জয়সহ বেশ কয়েকজন জানান, চাল কেনার পর তাঁদের সন্দেহ হয়। পরে মরিচবুনিয়া বাজারের একটি মুদি দোকানের ডিজিটাল পাল্লায় পরিমাপ করে দেখেন, চাল কম। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৫-২৬ কেজি।

ডিলার কামাল হোসেন বলেন, ‘ভুল হয়েছে, ক্ষমা করে দিন।’

পাটিখালঘাটা ইউনিয়নে বিক্রির কাজে তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আমিনুল ইসলাম ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক শাহাদত হোসেন। ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা মো. আমিনুল ইসলামকে একাধিকার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে মেসেজ পাঠিয়েও জবাব পাওয়া যায়নি।

ইউএনও বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। এখানে অনিয়মের সুযোগ নেই। অভিযুক্ত ডিলারের লাইসেন্স বাতিল এবং জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।