উপাচার্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার আজ মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস পরিদর্শনে যান। রাবিপ্রবির এই ছাত্রাবাসটি পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শাহ্‌ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। অগ্রিম টাকা নিয়েও ছাত্রাবাসের সংস্কার কাজ ভালো মতো না করায় উপাচার্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান উপাচার্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপরে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ঘণ্টা পর শিক্ষক মজিবুর রহমানকে বের করে আনেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জুয়েল সিকদার দাবি করেন, শাহ্‌ স্কুলের প্রধান শিক্ষক উপাচার্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং হল প্রভোস্টের গায়ে হাত তোলেন। শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাই শিক্ষার্থীরা স্কুলের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর পর বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ওই প্রধান শিক্ষক উপাচার্যের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

শাহ্‌ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, উপাচার্য তাকে ছাত্রাবাসের সামনে ডেকে নিয়ে অপমান করেছেন। এ ঘটনার পর তিনি সেখান থেকে চলে যান। উপাচার্যের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেননি বলে দাবি করেন তিনি।

রাবিপ্রবির উপাচার্য ড. সেলিনা আখতার বলেন, শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসটি ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ছাত্রবাসের বেশ কিছু অংশ মেরামতের কথা ছিল। সেসব নিয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বাজে আচরণ করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেছে।

রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিন জানান, রাবিপ্রবির ছাত্রাবাস করা হয়েছে শাহ্‌ স্কুলের ভবনে। ওই ভবনের কাজ নিয়ে উপাচার্য ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে কাটাকাটির জেরে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে যা রটেছে তা ঠিক না। উপাচার্য ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক যে যার জায়গায় রয়েছেন।