- সারাদেশ
- ‘আগে মাথার ওপর চাল ছিল না, এখন কী সুন্দর ঘর’
‘আগে মাথার ওপর চাল ছিল না, এখন কী সুন্দর ঘর’

চাঁদপুর ইউনিয়নের চতর এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে যান ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
‘কিছুই ছিল না, গ্রামে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতাম। থাকতাম তাদেরই ঘুপচি ঘরে। স্বামী এলাকার একটি জুট মিলে কাজ করত। আমাদের দুই ছেলে আর এক মেয়ে। আগে মাথার ওপর নিজেদের কোনো চাল ছিল না। এখন তিন রুমের কী সুন্দর ঘর! বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করছি।’
বলছিলেন ফরিদপুরের সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণে একটি বসতঘর পাওয়া জোহরা বেগম। সামসুর রহমান তার স্বামীর নাম।
মঙ্গলবার দুপুরের ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চতর এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসরত ১১৯টি পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে যান। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। শোনেন তাদের কথা।
এ সময় জোহরা বেগম ও সামসুর রহমান দম্পতি জানান, ছয় মাস হয়ে গেছে এই আশ্রয়ণে বসবাসের স্থান পেয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী মিলে এখন গ্রামের পাশেই একটি জুট মিলে কাজ করেন। সন্তানদের দিয়েছেন স্কুলে পড়ালেখার জন্য। এখন এই দম্পতির স্বপ্ন- ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করবেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, চত্বরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সকল বাসিন্দাদের নিজস্ব পরিবর্তনের গল্প রয়েছে। তাদের এই গল্পের মূলকারিগর সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফরিদপুরসহ সারা দেশের আশ্রয়হীণদের নিজস্ব ঠিকানা গড়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশেই আমরা এদের খোঁজ নিতে আসি। এই আশ্রয়ণের বাসিন্দারা জানালেন তাদের একটি মসজিদ দরকার। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেটি করে দিব।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিয়াউল রহমান, চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান শামসুর নাহার মহিদ, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন