নারায়ণগঞ্জে বৃহস্পতিবার মাহফিলের আয়োজন করেছে মহানগর ওলামা পরিষদ। এ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে সম্প্রদায়ের মধ্যে। এ উদ্বেগের বিষয় জানিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর মাসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার সেখানে সম্মেলনের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। লাগানো হচ্ছে মাইক। এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন মহানগর ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। তিনি হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক সভাপতি। মাহফিলের বক্তাদের মধ্যে রয়েছেন– কওমি শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ প্রমুখ। মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও ফেরদাউসের বিরুদ্ধে হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় মামলা রয়েছে। 

আহমদিয়া মুসলিম জামায়াতের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শামীম আহমেদ জেলা প্রশাসনের কাছে দেওয়া চিঠিতে বলেন, পঞ্চগড়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট অরাজক অবস্থাকে পুঁজি করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আলেম ওলামা জামাতকে টার্গেট করে পঞ্চগড়ের মতো সহিংস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রকাশিত। বিশেষ করে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসি তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত আহমদিয়া মসজিদগুলোকে টার্গেট করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়া বৃহস্পতিবারের ওলামা পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলের প্রস্তুতি সভায় আহমদিয়া সম্পর্কে উস্কানিমূলক বক্তব্যও গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়। এ কারণে আহমদিয়া মুসলিম জামায়াতের সদস্যরা তিনটি মসজিদ ও জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে চরমভাবে শঙ্কিত। 

এ অবস্থায় তাঁরা তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। একই চিঠি তাঁরা পুলিশ সুপার ও থানায় দিয়েছেন বলেও জানান। 

এ চিঠির বিষয়ে মহানগর ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, চিঠির বিষয়টি জানি না। প্রশাসনের কেউ  আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। এখানে তাঁদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। 

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, আহমদিয়া মুসলিমের একটি চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তেমন কোনো পরিস্থিতি দেখলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।