বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ভারত থেকে ১৫টি ঘোড়া আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি রাইডিং ঘোড়া ও ৪টি প্রজনন ঘোড়া। এ চালানে মোট ২০টি ঘোড়া আমদানি করা হবে। বাকী ৫টি ঘোড়া বৃহস্পতিবার ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করবে। ঘোড়াগুলোর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ইন্সপেক্টর জেনারেল অব বাংলাদেশ পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় এই ১৫টি ঘোড়া বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ঘোড়াগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করেন মেসার্স মাধ্যম নামক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। আর রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো কলকাতার বিধাতা সাপ্লাইয়ার।  

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের কার্গো সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিব বলেন, ঘোড়াগুলো আমদানি করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ। ঘোড়াগুলো খালাস করার পর বেনাপোল বন্দর থেকে ঢাকার বসিলায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ২৮ দিন রাখা হবে। তারপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হবে। 

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুল ইসলাম জানান, ১৫টি ঘোড়া এক লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ৮৩ লাখ টাকা। পুলিশের জন্য আমদানি করা ঘোড়াগুলো দ্রুত খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ঘোড়াগুলো রক্ষণাবেক্ষণের তদারকি করছেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমদানি করা ১৫টি ঘোড়া খালাসের জন্য কাস্টমস ও বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।