কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ২০ ঘণ্টার ব্যবধানে ইউপি সদস্যসহ দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার গরুড়া ও দৌলতখালী গ্রামে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গরুড়া মিস্ত্রিপাড়া গ্রামে ছেলেদের খেলার বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম ও মহাবুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাইফুলকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মহাবুল। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মহাবুল ও তাঁর স্ত্রী কনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাইফুল একই গ্রামের সাহাজুল ইসলামের ছেলে।

এদিকে দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাজল আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশী মাবুদ আলী। বৃহস্পতিবার ভোরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। কাজল দৌলতখালী পোস্ট অফিস পাড়া গ্রামের মৃত সুন্নত মণ্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় মাবুদ পলাতক রয়েছেন। তবে তাঁর স্ত্রী রাশেদা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কাজল মেম্বারের সঙ্গে স্থানীয় মাবুদ আলীর পূর্বশত্রুতা ছিল। গত বুধবার সন্ধ্যায় মাবুদের বাড়ির সামনে গেলে কাজলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাবুদ হাঁসুয়া দিয়ে কাজলের ঘাড়ে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে মাবুদের স্ত্রী রাশেদা গ্রেপ্তার হন।

দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এসব ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।