সড়ক থেকে প্রায় ১০ ফুট উঁচুতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে বড় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। মোটরসাইকেল ও ভ্যানগাড়ির মতো ছোট যানবাহনও ধাক্কা ছাড়া পার হতে পারে না। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই অবস্থা। অথচ এই দীর্ঘ সময়ে সেতুর ওপর দিয়ে সহজে যানবাহন চলাচলের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেতুটির অবস্থান মুক্তাগাছার নিমুরিয়া-শিমলা কাঁচা সড়কের বরিল বিলের মাঝামাঝি স্থানে।

মুক্তাগাছার মানকোন ইউনিয়নের নিমুরিয়া থেকে শিমলা সংযোগ সড়কটি মিলিত হয়েছে পদুরবাড়ি বাজারে জামালপুর সড়কের সঙ্গে। বরিল বিলের মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি। ঠিক কবে নির্মাণ হয়েছে, তার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, দেশ স্বাধীনের পর পরই সেতুটি নির্মিত হয়েছে। এ সংযোগ সড়কের মাঝখানে রয়েছে বরিল বিল। বর্ষাকাল এলেই বিলে পানি থৈ থৈ করে। দুই গ্রামের যোগাযোগ রক্ষার লক্ষ্যে নিমুরিয়া-শিমলা সংযোগ সড়কের বরিল বিলের মাঝখানে নির্মাণ করা হয় সেতটিু। এই সেতু সড়ক থেকে প্রায় ১০ ফুট উঁচু। দুইপাশে মাটি দিয়ে উঁচু করা হয়নি সড়কটি। যে কারণে চলাচল করতে পারে না বড় ধরনের যানবাহন।

ক্ষুদ্র কাকিনাটি গ্রামের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব নওশের আলী বলেন, দেশ স্বাধীনের পর পরই বরিল বিলের মাঝখানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই দীর্ঘ সময়েও কোনো কাজে আসেনি সেতুটি। ছোট যানবাহন ভ্যান-রিকশা চলাচল করে তাও পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে। যাত্রী ও মালপত্র নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই সেতু দিয়ে। খালি রিকশা-ভ্যান পার করতেও পেছন থেকে ধাক্কা দিতে হয়। মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলও পার করতে হয় ধাক্কা দিয়ে। দীর্ঘ সময়ে সেতুটি এখন নিজেই অকেজো হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। রেলিং ভেঙে যাচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে রয়েছে সেতুটি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।   

এমন ধরনের সেতুর বিষয় জানা নেই বলে দাবি ইউএনও এ কে এম লুৎফর রহমানের। তাঁর ভাষ্য, এলাকাবাসী আবেদন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।