বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, যে উন্নয়ন প্রান্তিক জনগণকে সবল করে না, তা টেকসই হয় না। সাধারণ মানুষ বিস্ময়ের সঙ্গে উন্নয়ন তাকিয়ে দেখলেও টিসিবি পণ্যের লাইন ছাড়া তারা সংসার চালানোর কোনো উপায় খুঁজে পায় না। শনিবার বিকেলে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মেনন বলেন, মানুষ উন্নয়ন দেখে ‘জয় বাংলা’ বললেও, লুটেরার দল বলে ‘এনজয় বাংলা’। বঙ্গবন্ধু এই লুটেরাদের নাম দিয়েছিলেন চাটার দল। এখন তারা আর চাটে না, সবকিছু গিলে খায়। ব্যাংক ফতুর করে ফেলে হাজার কোটি টাকা পাচার করে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা মুখথুবড়ে পড়বে। ডলার সংকটের মতো নতুন নতুন সংকট দেশকে পিছিয়ে দেবে। 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদ খান মেনন বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির দুঃশাসনের আমল দেশবাসী এখনও ভুলে যায়নি। বিএনপি যতই ভালো কথা বলুক না কেন, দুর্নীতির সেই পুরাতন স্বর্গরাজ্য ফিরে পেতেই তারা আবার মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপি পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাত-সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে দেশবাসী অতীতের মতো আবারও বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করবে। নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুযায়ী হবে। 

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরের দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং চাল-ডালসহ সকল প্রকার পণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। বয়স্ক ও বিধবা ভাতা নিয়ে দলীয়করণ ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শিল্পের ক্ষেত্রে ধর্মবাদীদের অশুভ তৎপরতা প্রতিরোধ করতে হবে। 

বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি ও আমিনুল ইসলাম গোলাপ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি খান রুস্তুম আলী, পটুয়াখালী জেলা সভাপতি অনিমেশ হাওলাদার, কেন্দ্রীয় সদস্য টিএম শাজাহান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ফিরোজ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ টিপু সুলতান।