ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মাহি সিকদার নামের এক কলেজছাত্রকে রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে শশীভূষণ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাত রাফি ও তার ভাই সাহাদাত হোসেনসহ তার দলবলের বিরুদ্ধে। 

শনিবার রাতে শশীভূষণ নতুন বাজার সংলগ্ন স্ব-মিলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্বজন ও সহপাঠীরা গুরুতর আহত অবস্থায় মাহিকে উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত কলেজছাত্র মাহি এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জোবায়ের স্বপনের ছেলে ও বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

এ ঘটনায় শনিবার রাতেই আহত কলেজছাত্র বাদী হয়ে শশীভূষণ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাত রাফিসহ ৪ জন এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।  

চিকিৎসাধীন মাহি সিকদার জানান, সম্প্রতি রাহাত রাফি, তার ভাই সাহাদাত হোসেন এবং তার বাবা জামাল উদ্দিনসহ কয়েকজনের একটি চক্র দুলারহাট থানা এলাকার এক ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন। এ সময় তিনি কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ঘটনা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওর বিষয়টি ওই চক্র টের পেয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে তাকে তাড়িয়ে দেন। এতে ওই দিন থেকেই ক্ষিপ্ত হন ছাত্রলীগ নেতাসহ তার পরিবারের সদস্যরা ও তার দলবল। এ নিয়ে প্রায় সময় তাকে মারধরের হুমকিধমকি দিয়ে আসছিলেন। 

মাহি আরও জানান, শনিবার রাতে তিনি শশীভূষণ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাহাত রাফি, তার ভাই সাহাদাত হোসেন, তাদের বন্ধু রায়হান নুরসহ ৭/৮ জনের একটি দল তাকে মারধর ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। তার চিৎকারের স্থানীয় এক নারী ছুটে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। 

শশীভূষণ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক পণ্ডিত জানান, ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।