- সারাদেশ
- সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: সীমা অক্সিজেন কারখানার পরিচালক জামিন পাননি
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: সীমা অক্সিজেন কারখানার পরিচালক জামিন পাননি

ফাইল ছবি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জামিন পাননি এর পরিচালক পারভেজ উদ্দিন। রোববার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১ বিচারক জিহান সানজিদার আদালতে তোলা হয় তাকে। পরে জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় আবারও জেল-হাজতে নেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ফের আদালতে তোলা হবে তাকে।
এদিকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে জাহাজভাঙা শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)। এ বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মালিকপক্ষ ও শিল্প পুলিশের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশনের সদস্য মাস্টার আবুল কাসেম বলেন, শিল্প পুলিশ পারভেজের কোমরে দড়ি বেঁধে ব্যবসায়ীদের ছোট করেছে। বিষয়টি তারা তুলে ধরেছেন। শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কেউ চাই না, আমাদের কারখানায় কোনো দুর্ঘটনা হোক। দুর্ঘটনার পর মালিকপক্ষ পালিয়ে যায়নি। দুর্ঘটনার দুই দিন পরও প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং করেছে। জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ৩ ঘণ্টার মধ্যে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রোববার জামিনের জন্য আদালতে তোলা হলেও জামিনযোগ্য মামলায় জামিন না পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা মর্মাহত হয়েছেন।’
৪ মার্চ বিকেলে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামে অক্সিজেন তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত হন সাতজন। আহত হন অন্তত ২৫ জন। ঘটনার এক দিন পর ৬ মার্চ ওই কারখানার তিন মালিকসহ ১৬ জনকে আসামি করে কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়। মামলাটির বাদী বিস্ফোরণে নিহত আবদুল কাদেরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
মামলায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উদ্দিন, তার দুই ভাই কারখানার পরিচালক পারভেজ উদ্দিন ও আশরাফ উদ্দিন ওরফে বাপ্পিকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন কারখানার ব্যবস্থাপক আবদুল আলিম, প্ল্যান্ট ইনচার্জ সামসুজ্জামান সিকদার প্রমুখ।
ঘটনার পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেছে। সেখানে নয়টি সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।
মন্তব্য করুন