তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বগুড়ায় বিভাগীয় সমাবেশে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, সরকার ভারতের তৈরি ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে কথা বলে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা ভোটে এই সরকার নির্বাচিত হয়েছে। এর পেছনে সরাসরি ভারতের হস্তক্ষেপ রয়েছে।

বগুড়া শহরের সাতমাথায় রোববার এ সমাবেশ হয়। জেলা বাসদের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পল্টুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও জয়পুরহাট জেলা বাসদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ, সিরাজগঞ্জের আহ্বায়ক নব কুমার কর্মকার, নওগাঁর আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল, রাজশাহীর আহ্বায়ক আলফাজ হোসেন, নাটোর জেলার সদস্য সচিব মোবারক আলী প্রমুখ।

ফিরোজ বলেন, ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশের কৃষি, জনপদ ও পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিস্তা চুক্তির আজও বাস্তবায়ন হয়নি। নতুন করে ভারত ১৫ ও ৩২ কিলোমিটার আয়তনের দুটি খাল খনন করতে প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। এতে এ দেশের কৃষির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

বাসদ নেতা বলেন, বাংলাদেশ আজ পানির অভাবে মরুকরণের হুমকিতে। চীন, নেপাল, ভুটান ও ভারত থেকে আসা নদীগুলো বাংলাদেশে জালের মতো ছড়িয়ে গেছে। এই নদীগুলোই বাংলাদেশের প্রাণপ্রবাহ। তবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত ৫৪টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এতে অনেক নদীই এখন খাল-নালায় পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখেছেন। তারা জনগণের অর্থসম্পদ লুট করেছে। একবার বামজোটকে ভোট দিয়ে দেখুন। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের পাশাপাশি সব অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।