সিন্ডিকেটে অবশিষ্ট চার ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন, ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা, নিয়োগে অসংগতিসহ চার দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যকে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।

সোমবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক স্বাক্ষরিত উপাচার্য বরাবর দেওয়া চিঠিতে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের গত ১৪ মার্চের সভায় এ চার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী সমকালকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনের শাসন ভঙ্গ হয়ে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতি এ চার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে সঠিক উদ্যোগ না নেওয়া হলে বৃহত্তর কর্মসূচিতে নামবে চবি শিক্ষক সমাজ।

চিঠিতে জানানো হয়, উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক শিরীণ আখতার এবং উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক বেনু কুমার দে দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩-এর লঙ্ঘন ঘটছে। প্রশাসনের আইনবিরোধী বিভিন্ন কাজের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশিত সংবাদ শিক্ষকদের মধ্যে বর্তমান প্রশাসনের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এ ছাড়াও সিন্ডিকেটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন না করা, শিক্ষকের পদোন্নতির নির্বাচনী বোর্ড সভা আহ্বান না করে তাঁদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও কেলেঙ্কারির বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।