মুন্সীগঞ্জে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের ১১ দিন পর স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে মুন্সীগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় ইমতিয়াজের পরিবারের সদস্যরা লাশটি শনাক্ত করেন।

পুলিশ জানায়, কবর থেকে উত্তোলনের পর স্থপতি ইমতিয়াজের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁরা বিকেলে লাশ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পরমতলায় নিয়ে গেছেন। সেখানে রাতে স্থানীয় কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে।

গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানের মরিচা সেতু এলাকা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ডিএনএ রেখে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দাফনের জন্য আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করা হয়। গত বৃহস্পতিবার লাশটি মুন্সীগঞ্জ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয় বেওয়ারিশ হিসেবে।

গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজনের কমেন্টের সূত্র ধরে স্থপতি ইমতিয়াজের স্বজনরা মুন্সীগঞ্জে আসেন। তাঁরা দাবি করেন, অজ্ঞাত হিসেবে দাফন লাশটি ইমতিয়াজের। লাশের পরনে থাকা পোশাক ও চেহারার বর্ণনা শুনে তাঁরা এ দাবি করেন। পরে লাশ ফিরে পেতে আজ তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন।

ইমতিয়াজ ভূঁইয়া ঢাকার তেজগাঁও থানার ডমিসাইল এলাকায় স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন। গত ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ নিয়ে পরদিন তাঁর স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার কলাবাগান থানায় জিডি করেন।

মুন্সীগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদীখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত ৮ মার্চ লাশটি উদ্ধারের পর ছবি তুলে ও ডিএনএ নমুনা রাখা হয়েছিল। ডিএনএ নমুনার ফল পেতে ছয় মাস সময় লাগবে। তবে স্থপতি ইমতিয়াজের স্বজনদের দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে সুরতহাল প্রতিবেদনের মিল পাওয়া গেছে। তাই আদালতের নির্দেশে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। মানবিক দিক বিবেচনায় লাশটি ইমতিয়াজের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।