- সারাদেশ
- চাঁদা না পেয়ে তিনজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
চাঁদা না পেয়ে তিনজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

জানা যায়, গাজীপুরের কাশিমপুর থানার মাধবপুর এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় একটি সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছিল। এ সময় একটি বাড়ি না ভাঙার শর্তে এক বাড়িওয়ালার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওসমান গণি লিটন। চাঁদার টাকা না পেয়ে তিনি তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক শওকত হোসেন মণ্ডল সোমবার রাতেই কাউন্সিলর লিটনকে প্রধান আসামি করে ও ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
এলাকাবাসী, অভিযোগকারী ও কাউন্সিলরের কর্মীরা জানান, ইট সলিং সড়ক প্রকল্পের মেয়াদ প্রায় শেষ হওয়ায় পরিকল্পনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে সড়কের দুই পাশের বাড়ির লোকজনের স্থাপনা ভেঙে ১৩ ফুট বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হয়। এ সময় শওকতের বহুতল ভবনের কিছু অংশ ভাঙার জন্য নির্দেশ দেন কাউন্সিলর লিটন। এতে শওকত বাধা দিলে কাউন্সিলর লিটন বাড়ি না ভাঙার শর্তে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চান। কিন্তু শওকত চাঁদা না দিলে সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কাউন্সিলর অর্ধশতাধিক লোক ও একটি ভেকু মেশিন নিয়ে বাড়িটির সামনের দেওয়াল ও শৌচাগার ভাঙতে শুরু করেন। খবর পেয়ে শওকতসহ তাঁর ১০-১২ জন আত্মীয় এ কাজে বাধা দেন।
এ সময় কাউন্সিলর ধারালো দা দিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেন। কাউন্সিলরের সহযোগীরা লাঠিসোটা দিয়ে শওকতের সঙ্গে আসা যুবকদের মারধর করতে থাকেন। গ্রামবাসী আহত শওকত, তাঁর ছেলে মেহেদী হাসান শিশির, ভাতিজা শাকিল মণ্ডলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শওকত হোসেন মণ্ডল জানান, কাউন্সিলর লিটন ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁর বাড়ির দেয়াল ও শৌচাগার ভাঙা শুরু করেন। এ সময় বাধা দিলে তাঁদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন।
কাউন্সিলর ওসমান গণি লিটন তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি কিংবা তাঁর লোক কাউকে মারধর করেননি।
কাশিমপুর থানার ওসি রাফিউল করিম রাফি জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন