- সারাদেশ
- রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎ নিয়ে দেশে ফিরে গেল মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎ নিয়ে দেশে ফিরে গেল মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল

ছবি: সমকাল
কক্সবাজারের আশ্রিত শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় থাকা প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গার সাক্ষাৎ নিয়ে ফিরে গেল মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ পৌরসভা জালিয়াপাড়াস্থল টেকনাফ মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে কার্গো ট্রলারে বাংলাদেশ ত্যাগ করে প্রতিনিধি দলটি। এর আগে এই জেটি দিয়ে ১৫ মার্চ স্পিডবোটে করে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসেন।
এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিল দেশটির মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ।
বুধবার সকালে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল ফিরে গেছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) খলিদ হোসেন বলেন, ‘সাত দিনে প্রায় ৫০০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎ নিয়ে তারা (প্রতিনিধিদল) মিয়ানমারে ফিরে গেছেন। যে কাজের জন্য তারা আসেন সেটি সম্পন্ন করেছেন। এখান থেকে যা যা তথ্য পেলেন সেটি তারা তাদের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে জানিয়েছে প্রতিনিধি দলটি।’
আরআরআরসি কার্যালয় জানায়, সর্বশেষ মঙ্গলবার টেকনাফের জাদিমুড়া ও লেদা ক্যাম্পের ১৬ পরিবারের ৪০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎ নেওয়া হয়। এর আগে সোমবার ২১ পরিবারের ৮৬ জনের, গত রোববার ২৬ পরিবারের ৭০ জন, গত শনিবার ২৩ পরিবারের ৬০ জন, গত শুক্রবার ১৬ পরিবারের ৭০ জন, গত বৃহস্পতিবার ২৩ পরিবারের ৭০ জন এবং গত বুধবার ২৩ পরিবারের ৯০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং তথ্য যাচাই করা হয়। সব মিলিয়ে গত সাত দিনে তথ্য যাচাই হয়েছে ১৪৭ পরিবারের প্রায় ৫০০ জন রোহিঙ্গার।
টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা বজলুুল রহমান জানান, ‘রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রায় একই রকমের বিষয় জানতে চাওয়া হয়। এর মধ্যে সাক্ষাৎকার নেওয়া প্রার্থীর বাড়ি রাখাইনের কোন গ্রামে ছিল, সেখানকার মেম্বার, চেয়ারম্যান কে ছিলেন, সমাজের সরদার কে ছিলেন, সেখানে থাকতে কতজন সন্তান ছিল, বাংলাদেশে আসার পর কতজন ছেলেমেয়ে জন্ম নিয়েছে, এসব বিষয় শোনা হয়।’
এই রোহিঙ্গা জানান, ‘এখানে (বাংলাদেশে) আমরা আর থাকতে চাই না। নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু এভাবে যেতে চাই, আর যাতে মিয়ানমার থেকে ফিরতে না হয়। তবে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে না। আলোচনা হলে আমরা দাবিগুলো তুলে ধরবো। সে বিষয়গুলো আমরা আগেও দাবি তুলেছি।’
মন্তব্য করুন