‘ফরিদপুরের পেঁয়াজের বীজ এখন একটি ব্রান্ড’

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন 'মানসম্পন্ন মশলা বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিতরণ' শীর্ষক প্রকল্পে বরিশাল-ফরিদপুর জোনের আওতাধীন ফরিদপুর জেলার পাঁচটি স্থানে পেঁয়াজ বীজ চাষ স্কিম চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলায় রয়েছে দুটি স্কিম। এর একটি চান্দ্রা ইউনিয়নের লোহারদিয়া গ্রামে। প্রায় ১৬ একর জমিতে সেখানে পেঁয়াজ বীজ চাষ করছেন পাঁচজন কৃষক।

বুধবার সকালে সরেজমিনে লোহারদিয়া গ্রামে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনকারী চুক্তিবদ্ধ চাষীদের বীজ ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। পরে তিনি স্থানীয় পেঁয়াজ চাষীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক প্রদীপ দে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক কাজল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক জামিলুর রহমান সহ জেলার বিএডিসি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, দেশে কৃষিখাতের সাফল্যের বড় কারণ পেঁয়াজ বীজ চাষে আমাদের সফলতা। আর এই পেঁয়াজ বীজের সিংহভাগই উৎপন্ন হয় ফরিদপুর জেলায়। ফরিদপুরের মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ বীজ চাষের খ্বুই উপযোগী। যেমনটি অন্য কোথাও নেই।

তিনি ফরিদপুরের পেঁয়াজ বীজ চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা পাইকারদের কাছে পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করবেন তবে অবশ্যই যখন তারা সেটি বাজারজাত করবে তখন যেন সেই বীজের প্যাকেটে 'ফরিদপুরের বীজ' লেখা থাকে। কারণ ফরিদপুরের পেঁয়াজ বীজ একটি মানসম্মত ব্র্যান্ড। তিনি বলেন, পেঁয়াজ বীজ চাষে সফলতার কারণে আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমেছে ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় মো. দেলোয়ার হোসেন এবং আলমগীর হাওলাদার নামে দুজন পেঁয়াজ বীজ চাষী বক্তব্য রাখেন। তারা ভারত থেকে নিম্নমানের পেঁয়াজ বীজ আমদানি বন্ধের জোর দাবি জানান।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকের জন্য ভর্তুকি, প্রণোদনা সহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে কৃষি ও কৃষকের উন্নতি হয়। আমরা চাই কৃষক উন্নতি করুক।

তারা বলেন, পেঁয়াজের চাষ এখন সারাবছরই হচ্ছে। এর ফলে আমদানি নির্ভরতা কমেছে। শুভ লক্ষণ হলো, পেঁয়াজ আবাদের চেয়ে পেঁয়াজ বীজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।