গোপালগঞ্জের লতিফপুর ইউপি নির্বাচন শেষে ছিনতাই হওয়া ইভিএমের তিনটিই উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে দু'টি চরমানিকদাহ গ্রামের মধুমতি নদীর তীরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। বাকি একটি একই গ্রামের বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সদর থানা পুলিশ ইভিএমগুলো উদ্ধার করে।

গত সোমবার গোপালগঞ্জ সদরের লতিফপুর ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন শেষে পরাজিত প্রার্থীদের লোকজন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরমানিকদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে তিনটি ইভিএম ছিনতাই করে।

এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইয়াসিন শেখসহ (৩৫) তিনজন আহত হন। পরে ইয়াসিন হাসপাতালে মারা যান। আজ তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে নির্বাচন শেষে ওই ওয়ার্ডে সাবু মোল্লাকে সদস্য (মেম্বর) পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী মালামাল ও ইভিএম নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা ওই কেন্দ্র থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্কুলমাঠেই পরাজিত তিন প্রার্থী মতিয়ার রহমান ফকির, পলু মোল্লা ও ইব্রাহিম কাজীর নির্দেশে কর্মী-সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি জাবেদ মাসুদ জানান, ইয়াসিনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি। নিহত ইয়াসিন শেখের ভাই ঠান্ডু শেখও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।