কক্সবাজারে পুকুরে আর্টিমিয়া চাষ ও বাজারজাতকরণবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার কক্সবাজারের সি-গাল হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান, বিসিকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া এবং বিএফআরআইয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান। 

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদরের খামারপাড়া, পিএম খালী ও চৌফলদন্ডী, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী, মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা ও হোয়ানাক, টেকনাফ উপজেলার রঙ্গীখালী এবং পেকুয়া উপজেলার মগনামা এলাকার আর্টিমিয়া চাষিরা, চিংড়ি ও মাছের বিপণন এজেন্ট, মাছের ও চিংড়ির হ্যাচারি মালিকরা, হ্যাচারি টেকনিশিয়ান, এনজিও কর্মকর্তারা (মুক্তি কক্সবাজার, শুশীলন, কোস্ট ফাউন্ডেশন) এবং প্রকল্পের কর্মীরা।

কর্মশালাটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড. প্যাট্রিক সরগেলুস, ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়াম এবং আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের টেকনিক্যাল টিম লিডার ড. মীজানুর রহমান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, পুকুরে আর্টিমিয়া উৎপাদন বাংলাদেশে নতুন যা ওয়ার্ল্ড ফিসচালু করেছে এবং আমি বিশ্বাস করি এই আর্টিমিয়া চাষ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আর্টিমিয়া উৎপাদন সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায় তবে এটি অন্যান্য সেক্টরাল উৎপাদনের মতো ভিশন ২০৪১ অর্জনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশি আর্টিমিয়া চাষিকে তাদের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন এবং শুভ কামনা জানিয়ে ড. প্যাট্রিক সরগিলুস বলেন, আর্টিমিয়া উৎপাদনে স্থানীয় যন্ত্র ও উপকরণের ব্যবহার প্রবর্তন করা একটি ভালো অভ্যাস। এশিয়া জুড়ে, অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ, বিশেষ করে ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ড আর্টিমিয়া সিস্ট এবং বায়োমাস উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের লবণের খামারগুলোর লাভজনক উন্নত করতে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে এবং ভিয়েতনামের ভিন চাউ-এর মতো জায়গায় হাজার হাজার পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করেছে।

ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে পুকুরে উৎপাদিত আর্টিমিয়া এখন চিংড়ি ও মাছের খামারে লাইভ ফিড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলায় সফল আর্টিমিয়া চাষিদের দেখে নতুন অনেক চাষি আর্টিমিয়া চাষে আগ্রহী হচ্ছে। 

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী অতিথিরা বলেন, ‘দরিদ্র লবণ চাষিদের জন্য আর্টিমিয়া চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে এবং আর্টিমিয়া চাষের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেলে তা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।