- সারাদেশ
- কুড়িগ্রামে দুই বছরে যক্ষ্মায় ১৫৭ প্রাণহানি
কুড়িগ্রামে দুই বছরে যক্ষ্মায় ১৫৭ প্রাণহানি

কুড়িগ্রামে গত দুই বছরে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৫৭ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১৪৮ জন। নিম্নবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুর এ মুর্শেদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম, নাটাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, ডা. আল-আমিন, ডা. মো. জোবায়ের হোসেন, নার্সিং ইনস্টিটিউটের কামরুন নাহার, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো. হান্নান, মনিটরিং অফিসার শাহ জালাল প্রমুখ।
ডা. মো. মঞ্জুর এ মুর্শেদ বলেন, যক্ষ্মা সংক্রামক রোগ। একে ‘টপ কিলার’ বা ‘শীর্ষ খুনি’ বলা হয়। মাইক্রো ব্যাকটোরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া এর জন্য দায়ী। একসময় রোগটি প্রাণঘাতী ছিল। বর্তমানে এ রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। কিন্তু যথাসময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হওয়ায় জেলায় যক্ষ্মা বাড়ছে। এ রোগ নির্মূলে স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়াও আরডিআরএসসহ বিভিন্ন এনজিও কাজ করছে। তবে সাধারণ মানুষকেও এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে।
জেলার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে যক্ষ্মায় ৪ হাজার ১১০ জন আক্রান্ত হয়। মারা যান ৮২ জন। তবে ২০২২ সালে ৪ হাজার ৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ফুসফুসে পজিটিভ আক্রান্ত সংখ্যা ২০১৪ জন, নেগেটিভ আক্রান্ত ১৩৩০ জন। ফুসফুস ছাড়া ৪৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত অধিক ঘনবসতি ও নোংরা জীবনযাপনে যক্ষ্মারোগ ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমেও এ রোগ ছড়ায় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন