নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষকের ভুলে আগুন লেগে ৩৬ বিঘা জমির পাকা গম পুড়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৪ জন কৃষক। শুক্রবার দুপুরে বড়াইগ্রামের আটঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রওশন হোসেন জানান, দুপুর ২টায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও প্রায় এক ঘণ্টা পর  তারা বিষয়টি জানতে পারেন। ততক্ষণে আগুনে গম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর জানান, রওশন হোসেন নামে এক কৃষক শুক্রবার সকালে তার জমির পাকা গম কেটে ঘরে তোলেন। দুপুর ১২টার দিকে গমের খরের গোড়ার অংশগুলো ধ্বংস করার জন্য তিনি তার জমিতে আগুন দিয়ে বাড়ি চলে আসেন। খরের গোড়ায় লাগানো সে আগুন পাশের পাকা গম গাছে লাগার পর তা দ্রুত অন্যান্য কৃষকের জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নিমিষেই আগুনে সব পুড়ে যায়। 

তিনি আরও জানান,  পুড়ে যাওয়া ওই সব জমির এক বিঘায় কমপক্ষে ১৫ মণ গম উৎপাদন হয়। ৩৬ বিঘা জমিতে আনুমানিক ৫৪০ মণ গম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১১ লাখ টাকা। 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, গম বিক্রি করে ছেলে-মেয়েদের জন্য ঈদের জামা-কাপড় কিনতে পারতাম। সেটা আর হলো না। এছাড়া কৃষকদের অনেকেই সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে গম বুনেছিলেন। ওই টাকাও পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। এমন ক্ষতিতে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন খাতুন বলেন, রওশন হোসেন নামে এলাকার একজন সাবেক সেনা সদস্যের অসাবধানতার কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা যেত। তবুও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারিয়াম খাতুন বলেন, আমি কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে একটা ব্যবস্থা করব। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য তাদের তালিকা করে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।