- সারাদেশ
- আলমডাঙ্গায় খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব, মেডিকেল টিম গঠন
আলমডাঙ্গায় খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব, মেডিকেল টিম গঠন

ফাইল ছবি
আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়নে গবাদি পশুর খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গেল এক সপ্তাহে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ১০টির বেশি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় শতাধিক গরু আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় ৪ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরও আক্রান্ত পশুকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি পশু মালিকদের।
স্থানীয়রা জানায়, গত বছরের তুলনায় এই বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হঠাৎ করেই গবাদিপশু খুরা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসা সেবা প্রদানে হিমসিম খাচ্ছে স্থানীয় চিকিৎসকরা। প্রতিদিন খাদেমপুর, আইলহাঁস, গাংনী, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে গবাদিপশুর খুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে অনেক গরু মারা যাবার মত ঘটনাও প্রত্যহ। তাৎক্ষণিক স্থানীয় পশু চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়েও পশু বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের গোপিনগর গ্রামে গত ১ সপ্তাহে খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ টি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও রুইথনপুর, হাঁপানিয়া, ভালাইপুর, কয়রাডাঙ্গা গ্রামে ঘরে ঘরে গবাদিপশু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেন। এছাড়াও এই ইউনিয়নে প্রায় ২শতাধিক গবাদিপশু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রোগাক্রান্ত গবাদিপশু মারা গেলেও ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোন চিকিৎসকের খোঁজ পায়নি বলে অভিযোগ করেন ।
হাঁপানিয়া গ্রামের গৃহবধূ সুমাইয়া তানহা মিথিলা জানান, ১০ দিন আগে গোয়ালে থাকা তিনটি গরু একই সঙ্গে খুরা রোগে আক্রান্ত হয়। হঠাৎ কাঁপুনি দিয়ে তীব্র জ্বর আসে গরু গুলোর। স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে দুটো বাঁচানো গেলেও ১ টি গরু মারা যায়।
রুইথনপুর গ্রামের কৃষক আরজ আলি জানান, প্রথমে গরুর পায়ে ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। এরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। মুখ দিয়ে লালা ঝরে। পরে রোগাক্রান্ত গরুটি হাঁটাচলা করতে পারে না। কোনো প্রকার খাবার খেতে পারে না। স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকের মাধ্যমে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন। এরপরও এই রোগে আক্রান্ত গরুকে বাঁচানো যাচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহীল কাফি বলেন, খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে গরু মারা গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে চার সদস্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। মাঠ পর্যায়ে খুরা রোগ প্রতিরোধে কাজ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন