মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ৩০ মিনিটের ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধশত ঘরবাড়ি। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়েছে শতাধিক গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। এর ফলে গজারিয়া উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। একই সময়ে গজারিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মঞ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেল ৫টার পর থেকে শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। কিছুক্ষণ পর তীব্র বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। আধা ঘণ্টা ধরে চলে ঝড়-বৃষ্টি।

হোসেন্দী ইউনিয়নের রঘুরচর গ্রামের বাসিন্দা বাহাউদ্দিন মোল্লা বলেন, তাঁদের গ্রামের পূর্বপাড়ায় আট থেকে ৯টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ের সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আরেক বাসিন্দা নূর উদ্দিন মোল্লা জানান, ঝড়ে তাঁর দুটি ঘরের চাল উড়ে গেছে। তাঁর প্রতিবেশী নিজাম মোল্লার একটি ঘরসহ বেশ কয়েকজনের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলেরও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গুয়াগাছিয়া এলাকার কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, তীব্র বাতাস আর শিলাবৃষ্টিতে তাঁর তিন বিঘা জমির ভুট্টাগাছ মাটিতে মিশে গেছে। এলাকার ভুট্টা, ধান, আলু, সূর্যমুখী ফসলেরও একই অবস্থা। এতে অসংখ্য কৃষক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩-এর আওতাধীন গজরিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র পালের ভাষ্য, ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরপর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেশকিছু জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের কর্মীরা সেগুলো অপসারণ করছেন। সবকিছু ঠিকঠাক হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র পাল।