- সারাদেশ
- স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষে হট্টগোল
স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষে হট্টগোল

স্বাধীনতা দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে হট্টগোল
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্বাধীনতা দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে হট্টগোলে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামনেই এ ঘটনা ঘটে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাস অংশের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। এরপর শাখা ছাত্রলীগের নামে ফুল দিতে আসে ক্যাম্পাসের বাইরের অংশের নেতৃত্বাধীন আরেকটি অংশ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে তেড়ে এলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
তবে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। অবস্থা বেগতিক দেখে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না ছাত্রলীগের কারণে স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠান পণ্ড হোক। তোমরা যে-ই ঝামেলা করবা, তাকেই আমি এক্সপেল (বহিষ্কার) করে দেব।’
কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ভাস্কর্যের সামনেই আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপাচার্য বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও আমরা স্বাধীনতাকে বুকে ধারণ করি না বলেই এখনও এসব দিবসে এসে ইতিহাসের কথা বলতে হয়। এখনও অনেকে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিতে লিপ্ত। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আমাদের দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা যদি আমাদের ঐক্যের প্রতীক হন, তাহলে আমাদের মধ্যে এত বিভেদ কেন? বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের বিভেদ ভুলে এগিয়ে যেতে হবে।’
এর আগে স্বাধীনতা দিবসের এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহীদ মিনারের দিকে যায়। শোভাযাত্রা শেষে শহীদ মিনারেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।
মন্তব্য করুন