নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে ভাড়া বাসা থেকে সুমা আক্তার রহিমা (২৩) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার হাটিপাড়া এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরপরই ঘরের দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায় তাঁর স্বামী রফিক মিয়া। সুমার স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুক হিসেবে দাবি করা টাকা না পেয়ে সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

সুমা আক্তার রহিমা নাটোর জেলার গুরুদাসপুরের খবজিপুর এলাকার আজাদ হোসেনের মেয়ে। দেড় বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় ঢাকার ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া ডগাইর এলাকার খোরশেদ বেপারীর ছেলে রফিক মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে তারাবো পৌরসভার হাটিপাড়া এলাকার কামাল হাজীর বাড়িতে এ দম্পতি ভাড়া থাকতেন।

সুমার মা নুরজাহান বেগমের অভিযোগ, প্রায়ই তাঁর মেয়ের কাছে যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করে আসছিল স্বামী রফিক মিয়া। টাকা না দেওয়ায় সুমাকে সে প্রায়ই শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। রোববার বেলা ১০টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজ কক্ষে রহিমার গলা কেটে হত্যা করে সে। পরে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায় রফিক।

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, বেলা ১১টার দিকে তাঁদের কাছে ওই গৃহবধূ হত্যার সংবাদ আসে। তাঁরা লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি জব্দ করেছেন তাঁরা। পলাতক স্বামী রফিক মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে।