রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গাড়িচালক সম্রাট হোসেন (২৯) হত্যায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে সম্রাটের বাবা আবু বক্কার ঈশ্বরদী থানায় মামলাটি করেন। এতে সম্রাটের বন্ধু মমিন হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সীমা খাতুনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে সীমাকে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রধান আসামি মমিন এখনও অধরা। 

নিখোঁজের দুই দিন পর শনিবার কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট এলাকায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বিলাসবহুল প্রাডো জিপ গাড়িতে সম্রাটের মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি ঈশ্বরদীর মধ্য অরণকোলা আলহাজ ক্যাম্প এলাকার বক্কার হোসেনের ছেলে। রূপপুর প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটমের নিকিমত কোম্পানিতে গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করতেন সম্রাট। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমাকে গ্রেপ্তার করে। 

এদিকে সীমা পরিকল্পিতভাবে সম্রাটকে হত্যার করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সীমা জানিয়েছে, হত্যার পর মরদেহ বস্তায় ভরে সম্রাটের ব্যবহৃত গাড়িতেই বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে সে ও মমিন। পরে শিলাইদহে গাড়ি রেখে সীমা বাড়ি ফিরে যায়। আর তার স্বামী পালিয়ে যায়। 

সম্রাটের বাবা আবু বক্কার বলেন, মমিন ও সীমা ডেকে নিয়ে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাঁর ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তিনি সন্তান হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। 

ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, পলাতক মমিনকে গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।