- সারাদেশ
- খুলনায় কচি হত্যা মামলায় গ্রেনেড বাবুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনায় কচি হত্যা মামলায় গ্রেনেড বাবুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

দণ্ডপ্রাপ্ত রনি চৌধুরী বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবু
খুলনায় জাহাঙ্গীর হোসেন কচি হত্যা মামলার আসামি রনি চৌধুরী বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার অপর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও সাজাপ্রাপ্ত গ্রেনেড বাবু পলাতক রয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোহেল, সুমন শেখ ওরফে বোমা সুমন, কালা রনি ওরফে হাসিবুর রহমান, কাজল ওরফে দাদা ওরফে হাবিবুর রহমান কাজল, রিয়াজ মীর, সোহাগ, জাহিদ গাজী ও জিয়া গাজী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর হোসেন কচি নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা হাকিম মো. ইলিয়াছ হোসেনের ছেলে। ২০১০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কচিকে নগরীর শামসুর রহমান রোডে ফোন করে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এরপর তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে মোটরসাইকেলে করে পলিয়ে যায় তারা। উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কচিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরদিন কচির বাবা ইলিয়াছ বাদী হয়ে রনি চৌধুরী বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবুসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর একই বছরের ২ নভেম্বর মামলার প্রধান আসামি গ্রেনেড বাবু পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন কুমারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১১ সালের ৫ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এসআই (উপপরিদর্শক) আমিরুল ইসলাম গ্রেনেড বাবুসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২৬ জনের মধ্যে ১২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
মন্তব্য করুন