জয়পুরহাট সদর উপজেলার দাদরা জন্তিগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামে মিতু আক্তার নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আব্দুস ছাত্তার ওরফে বোতলের বিরুদ্ধে। রোববার রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ওই ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী পলাতক।  

২০ বছর আগে সদরের সুক্তাহার গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে মিতু আক্তারের সঙ্গে দাদরা জন্তিগ্রামের আব্দুস ছাত্তারের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর মিতুকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিলেন আব্দুস ছাত্তার। কয়েক বছর আগে সাত্তার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। রোববার সন্ধ্যায় ছাত্তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে লাশ ঘরের আড়ে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান। ঘটনার পর মিতুর বাবা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইশতিয়াক আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গৃহবধূ মিতুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

মিতুর চাচা বকুল ইসলাম জানান, মিতুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে হত্যার পর সাত্তার লাশ ঝুলিয়ে রাখেন।