নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার পথে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এসআই শুভাশীষ গাঙ্গুলী ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এসআই সানোয়ার হোসেন পৃথক দুটি মামলা করেন। পুলিশ ১৩ নেতাকর্মীকে আজ সোমবার আদালতে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তার নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছেন– জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হাসান আবু চান, দুর্গাপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতাউর রহমান ফরিদ, দুর্গাপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু, যুবদল নেতা শাহ আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মইনুল হাসান, রফিকুল ইসলাম, আবদুস সালাম, স্বপন মিয়া, আবদুল বারেক ও সোহাগ খন্দকার।

স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার পথে পুলিশ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীকে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ হয়। পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। জেলা পুলিশের দাবি, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে দেখে গালাগাল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়া হয়। এ সময় বিএনপি নেতা ইমাম হাসান আবু চানসহ কমপক্ষে পাঁচ নেতাকর্মী আহত হন।

দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল আলম ভূঁইয়া জানান, পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়িতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে। রোববার রাতে তাঁর বাসায় গিয়ে পুলিশ অকথ্য ভাষায় গালি দেয় ও বাসার গেট ভেঙে ফেলে। বিএনপির কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা খুবই দুঃখজনক। মামলা দিয়ে হয়রানি করছে পুলিশ। তাদের হাত থেকে স্কুল শিক্ষার্থীও রক্ষা পায়নি।

দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে অহেতুক কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না।