- সারাদেশ
- ঘোষণার চেয়ে বেশি দরে ডলার, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ঘোষণার চেয়ে বেশি দরে ডলার, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ফাইল ছবি
ঘোষণার চেয়ে বেশি দরে ডলার কেনার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যাংক ও কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সোমবার সমকালে প্রকাশিত ‘ব্যাংকেই ডলারের কালোবাজার’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে সমকালের রিপোর্টে উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোতে পরিদর্শন শুরু করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক জানান, প্রকাশিত রিপোর্টে ঘোষণার চেয়ে বেশি দরে ডলার কেনার যে তথ্য এসেছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর। একটি দর ঘোষণা করে আরেক দরে ডলার বেচাকেনায় জড়িত ব্যাংক ও দায়ী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এলসি খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি লাগে না। শুধু ৩০ লাখ ডলারের বেশি এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হয়। কোনো ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর অপব্যবহারের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার সমকালে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা দরে প্রবাসী রেমিট্যান্স কেনার কথা জানালেও ১১৩ টাকা পর্যন্ত দরে কিনছে কোনো কোনো ব্যাংক। সরকারি মালিকানার দুটিসহ অন্তত ১২টি ব্যাংক আগ্রাসীভাবে বাড়তি দরে ডলার কিনছে। এভাবে কেনা ডলার আমদানিকারকের কাছে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। যদিও ব্যাংকগুলো কাগজে-কলমে ১০৭ থেকে ১০৮ টাকার বেশি দেখাচ্ছে না। বাড়তি অংশ কখনও অনানুষ্ঠানিকভাবে সরাসরি এক্সচেঞ্জ হাউসের প্রতিনিধিকে পরিশোধ করা হচ্ছে। কখনও ‘অন্যান্য খাতের ব্যয়’ দেখানো হচ্ছে। একইভাবে আমদানিকারকের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিয়ে তা ‘অন্যান্য খাতের আয়’ হিসেবে সমন্বয় করা হচ্ছে। এভাবে ব্যাংকের ভেতরেই ডলারের একটি কালোবাজার সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন