নাটোরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক ইউনুস আলীকে পুকুর থেকে মাছ চুরি, মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা মামলায় ছেলেসহ কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক।

আজ মঙ্গলবার বাগাতিপাড়া আমলি আদালতের বিচারক মোসলেম উদ্দিন বাবা ও ছেলেকে কারাগারে পাঠালেও ইউনুস আলীর স্ত্রী ফরিদা পারভীনকে জামিন দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক ইউনুস আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালাম আজাদের পরিবারের ৩৩ শতাংশের একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সকালে ইউনুস আলী বিরোধপূর্ণ ওই পুকুর থেকে লোকজন নিয়ে মাছ ধরেন। বিষয়টি জানতে পেরে আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সেলিনা বানু ডেজি, তাঁর মেয়ে সাদিয়া আফরিন, দেবর এস এম হুমায়ুন কবির, দেবরের স্ত্রী নাজমুন নাহার মিতাসহ অন্যদের নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে ইউনুস আলীর বাড়িতে যান।

এ সময় অধ্যাপক ইউনুস আলী, তাঁর স্ত্রী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ফরিদা পারভীন ও তাঁদের ছেলে ইফতেখার রহমান সৌরভ (২৮) বাদীসহ অন্যদের ওপর হামলা করে মারধর করেন। পরে হামলাকারীরা কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর করার পাশাপাশি বাদীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। এমনকি ইউনুস আলী ও তাঁর ছেলে হামলার সময় বাদীর স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে নেন এবং তার পরনের পোশাক ও চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করেন বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তরা আদালত থেকে জামিন নেন। এরপর আজ মঙ্গলবার মামলার নির্ধারিত তারিখে ফের আদালতে হাজিরা দিতে এলে বিচারক পিতা-পুত্রের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।