
রাজশাহীর চারঘাটে হায়দার আলী নামে এক জেলেকে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সহায়তায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) উদ্ধার করেছে।
গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ইউসুফপুর-মুক্তারপুর সংলগ্ন চর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার চারঘাটে পদ্মা নদী থেকে জেলে হায়দার আলীকে অপহরণ করে ভারতীয় মাদক কারবারিরা। তিনি উপজেলার মুক্তারপুর চকপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
অপহরণের শিকার জেলে হায়দার আলীর মেয়ে প্রীতি খাতুন জানান, তাঁর বাবা প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যায় নৌকা নিয়ে পদ্মায় মাছ ধরতে যান। পরদিন সকালে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। এ অবস্থায় একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে বাবাকে আটকে রাখা হয়েছে জানিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে লাশ ফেরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়। তারা প্রথমে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চায়। পরে বিজিবির ইউসুফপুর ক্যাম্প ও চারঘাট মডেল থানায় লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়। সোমবার রাতে বিজিবির সহায়তায় তার আহত বাবাকে ফেরত পায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, হায়দার আলীর অপহরণের খবর পাওয়ার পর বিএসএফের কাছে অপহরণে জড়িত ভারতীয় মাদক কারবারিদের তথ্য পাঠানো হয়। বিএসএফ জেলে হায়দারকে উদ্ধার করে পদ্মার চরের বাংলাদেশের সীমান্তে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
জানা যায়, ভারতীয় ও বাংলাদেশি মাদক কারবারিদের দ্বন্দ্বে বেশ কয়েক দিন ধরে অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এর আগে ২৪ জানুয়ারি সুশীল হালদার নামে এক ভারতীয় জেলেকে অপহরণ করে বাংলাদেশি মাদক কারবারিরা। ১৪ ঘণ্ট পর বিজিবি তাকে উদ্ধার করে বিএসএফের কাছে ফেরত দেয়। এবার মাদক কারবারিদের সহযোগী ভেবে হায়দার আলীকে অপহরণ করেছিল ভারতীয় মাদক কারবারিরা।
রাজশাহী বিজিবি-১ এর সিও (কমান্ডিং অফিসার) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিউল ইসলাম বলেন, আমাদের এক জেলেকে ভারতীয় মাদক কারবারিরা অপহরণ করেছিল। বিএসএফের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন