- সারাদেশ
- ইউটিউব দেখে সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা
ইউটিউব দেখে সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা

পাহাড়ের কৃষক ত্রিজীবন চাকমার সূর্যমুখী ফুলের বাগান- সমকাল
দুর্গম পাহাড়ের কৃষক ত্রিজীবন চাকমা। ইউটিউব দেখে শিখেছেন সূর্যমুখীর চাষ। প্রথমবারের মতো দুই একর জমিতে এই তেল বীজ ফসলের চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে ভালো। লাভের আশা করছেন তিনি। তাঁর বাড়ি রাঙামাটির নানিয়ারচরের ভূয়োদাম এলাকায়। তাঁর মতো বহু কৃষক সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রবিশস্য প্রণোদোনার আওতায় এবার রাঙামাটির ২০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১ দশমিক ০৬ থেকে ৪১ টন ভোজ্যতেল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উফশি হাইসান-৩৩, বারি-২, ৩ ও হাইসন-৩৬ জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। মূলত তেল বীজ হিসেবেই সূর্যমুখীর চাষ হয়।
এ ছাড়া খৈল মাছের খাবার ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর কোনো অংশই ফেলনা যায় না।
এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় ১২০ বিঘা জমিতে সূর্ষমুখীর চাষ হয়েছে। মোট ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পে ৬০ কৃষককে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ত্রিজীবন চাকমা জানান, ইউটিউব দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুই একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশা করছেন। তবে সূর্ষমুখীর বীজ থেকে তেল উৎপাদনের কারখানা না থাকায় পাশের জেলা খাগড়াছড়ি যেতে হয়।
সূর্যমুখীর চাষ করেছেন কাউখালী উপজেলার কৃষক স্মৃতি কুসুম চাকমাও। তাঁর ভাষ্য, সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্য নিছক বিনোদন নয়। মূলত ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে এই তেল বীজ চাষ করা হচ্ছে।
কাউখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তৈয়ব নূর সাগরের দাবি, মাঠ পর্যায়ে তদারকি করেছেন তাঁরা।
কাউখালীতে এবার ২০ বিঘা জমিতে সূর্ষমুখী চাষে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কাউখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আপ্রু মারমা বলেন, রাঙামাটির ২০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। এবারে উফশি হাইসান-৩৩ জাতের ফলন ভালো হয়েছে।
মন্তব্য করুন