- সারাদেশ
- আ’লীগ নেতা শামীম হত্যা: আসামিকে পুলিশ প্রটোকল দেওয়ার অভিযোগ
আ’লীগ নেতা শামীম হত্যা: আসামিকে পুলিশ প্রটোকল দেওয়ার অভিযোগ

পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতা শামীম হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইমরান হোসেনকে পুলিশ পাহারায় বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বাড়িতেও পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলে অভিযোগ শামীমের স্ত্রী রিক্তা আরা খাতুনের।
আজ বুধবার পাবনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে রিক্তা বলেন, তাঁর স্বামীকে যে অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, র্যাব তা উদ্ধার করেছে। তবে পুলিশ অভিযোগপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করেনি। এ ছাড়া আসামিদের মামলা থেকে বাঁচাতে পুলিশ দুর্বল অভিযোগ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হত্যা মামলার আসামি ইমরান জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর পুলিশ কীভাবে তাকে পাহারা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসে? কীভাবে নিরাপত্তার কথা বলে পুলিশ ওই বাড়িতে পাহারা বসায়?
হত্যাকারীরা বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে জানিয়ে রিক্তা অভিযোগ করেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্যও শাসানো হচ্ছে। মামলার দুই নম্বর আসামি হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নিলুর শ্যালক পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হত্যাকারীদের বাঁচাতে এই কলকাঠি নাড়ছেন। ইমরান তরিকুল ইসলাম নিলুর ছেলে।
এ সময় স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতসহ চারটি দাবি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন রিক্তা খাতুন। শামীমের বাবা নূর আলী প্রামাণিক, চাচা আবু দাউদ রনি, চাচাতো ভাই রাশেদ হাসান মিঠুন, স্বজন পাভেল হাসান, জাহাঙ্গীর প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউপিতে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় প্রকাশ্যে শামীমকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। শামীম ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় শামীমের বাবা নূর আলী প্রামাণিক ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় দুই নম্বর আসামি তরিকুল ইসলাম নিলু জামিনে মুক্তি পাওয়ার কয়েক দিন পর মারা যান। পরে প্রধান আসামি ইমরান পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
মামলার বাদী ও স্বজনের অভিযোগ, ২৩ মার্চ ইমরান পাবনার আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে পুলিশ পাহারায় বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বলেন, যেহেতু এটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড; আসামি জামিনে বের হয়ে বাড়িতে ফেরার পর একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে– এমন তথ্য ছিল আমাদের কাছে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ওই এলাকায় পুলিশের টহল দল মোতায়েন করা হয়। আসামিকে বাড়িতে পাঠানো বা শুধু আসামির বাড়িতে নিরাপত্তা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। পুলিশের অবস্থানকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন ছিল, অন্য কোনো কারণে নয়।
মন্তব্য করুন