লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে রৌশন আক্তার লিপি নামের এক গৃহবধূকে হত্যার মামলায় স্বামী মো. ইসমাইল হোসেন সুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সুজনের পরকীয়া প্রেমিকা সুমি বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। 

আসামি সুজন পলাতক। খালাসপ্রাপ্ত সুমি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল হোসেন সুজন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের ঘরোয়ার বাড়ির মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে। 

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে রৌশন আক্তার লিপির সঙ্গে মো. ইসমাইল হোসেন সুজনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর লিপি জানতে পারে তার স্বামী সুমি নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত। এর প্রতিবাদ করায় সুজন তার স্ত্রীকে মারধর করতেন। ২০২০ সালের ২ মে সকালে তাদের ঝগড়া হয়। এদিন দুপুরে লিপির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লিপির মা আলেয়া বেগম বাদি হয়ে ইসমাইল হোসেন সুজন ও সুমিকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। 

এ দিকে ময়নাতদন্তে লিপিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।