কালীগঞ্জে নির্মাণের দু’দিন না পেরোতে উঠে যাচ্ছে নতুন রাস্তার পিচ। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্মাণের পরই রাস্তাটির পিচ উঠে যাচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ৩-এর (আইআরআইডিপি) আওতায় সিংগী বাজার থেকে চাপরাইল বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পিচঢালাই করা হয়। ৮১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজটি পান ঝিনাইদহের ঠিকাদার নিশিত বসু। পরবর্তী সময়ে নিশিত বসুর কাছ থেকে কাজটি নেন ঝিনাইদহের রাশেদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনিই কাজটি দেখাশোনা করেন।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন আগে রাস্তাটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গত সোমবার বিকেলে কাজটি শেষ হয়। রাস্তাটিতে নিম্নমানের ইট, বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিকাদার রাস্তার অনেক স্থানে পিচের পরিবর্তে টায়ার গলিয়েও ব্যবহার করেছেন বলে তাঁদের অভিযোগ। এ ছাড়া অপরিষ্কার রাস্তায় পিচ দেওয়ার কারণে সেগুলো সহজেই উঠে যাচ্ছে। হাত দিয়েই তুলে ফেলা যাচ্ছে পিচ। দুই দিনেও পিচ ও খোয়া জমাট বাঁধেনি।

সরেজমিন সিংগী বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তাঁরা হাত দিয়ে পিচ উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান। রাস্তাটি পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
সিংগী বাজার এলাকার সুজয় সাহা জানান, রাস্তায় পিচ দেওয়ার এক দিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে। এমন রাস্তা করার চেয়ে না করাই ভালো। ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনের চাকার সঙ্গে পিচ উঠে যাচ্ছে।

একই এলাকার তপন কুমার ঘোষ বলেন, মঙ্গলবার সকালে ভ্যান যাওয়ার সময় চাকার সঙ্গে পিচ উঠে যাচ্ছিল। এ সময় কয়েকজন রাস্তায় হাত দিলে পিচ উঠতে থাকে। এমন রাস্তা জীবনেও দেখেননি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাশেদ হোসেন দাবি করেন, পিচ জমাট বাঁধতে সময় লাগে। সম্প্রতি নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেক বেড়ে গেছে। সে দিকটি বজায় রেখেই তাঁরা রাস্তার কাজ শেষ করেছেন এবং ইঞ্জিনিয়ারকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন তাঁর কিছুই করার নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাস্তায় পিচ জমাট বাঁধতে একটু সময় লাগে। তবে অভিযোগ ওঠায় রাস্তাটি দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।