নিষিদ্ধ মৌসুমে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে জাটকা নিধনের ধুম। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের অভিযানেও তা বন্ধ হচ্ছে না। কয়েকটি এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন এর সত্যতা মিলেছে।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ নভেম্বর ২০২২ থেকে আগামী ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবে বৃহস্পতিবার কাঞ্চনপুর, গোপীনাথপুর, আন্ধারমানিক খেয়াঘাট সংলগ্ন পদ্মার চর ও ধুলশুরায় জাটকা নিধনে জেলেদের ব্যস্ত দেখা যায়।

আন্ধারমানিক, বাহাদুরপুর ঘাটে ট্রলারঘাটে বেশ কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা হয় সমকালের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, প্রশাসন মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে যেমন কঠোর, জাটকা নিধনের বিরুদ্ধে তেমন কঠোরতা নেই।

কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর গ্রাম থেকে জাটকা ধরছিলেন এক জেলে। তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি। এই জেলের ভাষ্য, ‘আমরা গরিব মানুষ, বৈধ-অবৈধ হিসাব করি না। যখন অভিযান দেবে, তখন আমরা ঘণ্টাখানেক আগেই জানি। আমগো লোক আছে, তাঁরা আমগো আগেই কইয়া দেয়।’

এক আড়তদার বলেন, ‘আমাদের আড়তে জেলেরা জাটকা নিয়ে আসেন। আমরা তা পাইকারদের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করি।’ এখন পর্যন্ত তাঁদের আড়তে কোনো অভিযান হয়নি।

হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফরমান আলী বলেন, তিনি এখানে নতুন যোগ দিয়েছেন। উপজেলার সব জায়গাও চেনেন না। কারেন্ট জাল ও জাটকা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে শিগগির নিয়মিত অভিযানে যাবেন।