- সারাদেশ
- জবি ছাত্রলীগের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ
জবি ছাত্রলীগের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ

পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক ও সদরঘাট এলাকার ফুটপাতে শ্রমজীবী হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এসএম আক্তার হোসাইনের নামে প্রতিটি দোকান থেকে দিনে দু’বার চাঁদা তোলা হয়। ওই টাকার একটি বড় অংশ কর্মীদের হাত হয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পকেটে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন। সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফ্লাইভার পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে হকারি করে শতাধিক লোক জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ পরিচয়ে পর্যায়ক্রমে দু’বার দল বেঁধে হকারদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়।
বাহাদুর শাহ পার্ক ও সদরঘাট এলাকার হকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন দোকানপ্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। এভাবে ওই এলাকায় ৭০ থেকে ৮০টি দোকান থেকে মাসে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা চাঁদা নেয় ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হকারদের ওপর এভাবে জুলুম করা হচ্ছে। ১৫ দিন আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতিকে বিষয়টি জানালে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাইনি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।
চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, কেউ যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তোলে, তার দায়ভার তো আমরা নেব না। ক্যাম্পাসের আশপাশে আমাদের কোনো কর্মী চাঁদাবাজি করে না। আর ছাত্রলীগে চাঁদাবাজির কোনো জায়গা নেই।
মন্তব্য করুন