- সারাদেশ
- গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তি
গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তি

কিশোরগঞ্জের নিকলীর একটি আবাসিক হোটেলে গৃহবধূ খুনের ঘটনায় তাঁর কথিত প্রেমিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার কথা তিনি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
কিশোরগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা যায়, কটিয়াদী উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে হুমায়ুন (২৯) ও একই উপজেলার চরকাউনা এলাকার মোতালিব হোসেনের স্ত্রী তামান্না (২২) গত ২৫ মার্চ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিকলী সদরের শিমুল কমপ্লেক্স ভবনের একাংশ ‘হাওর প্যারাডাইস’ নামে আবাসিক হোটেলের ৬০৯ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন বলে ওসি জানিয়েছেন। বিবাহিত হুমায়ুন কুলিয়ারচরের পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করেন। আর তামান্না কুলিয়ারচরের পশ্চিম জগৎচর গ্রামের অহিদ মিয়ার মেয়ে। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এর সূত্র ধরেই হুমায়ুন তাঁর স্ত্রীর কাছে মেলায় যাওয়ার কথা বলে তামান্নাকে নিয়ে নিকলীর ওই হোটেলে উঠেছিলেন।
হোটেলকর্মী শায়লা আক্তার ও হুমায়ুন বুধবার দুপুরের আগে তামান্নাকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত অবস্থায় পান। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমায়ুনকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় তামান্নার বাবা অহিদ মিয়া বাদী হয়ে হুমায়ুনকে একমাত্র আসামি করে বুধবার রাতে নিকলী থানায় হত্যা মামলা করেছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিকলী থানার ওসি মনসুর আরিফ। গতকাল হুমায়ুনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি বিচারকের কাছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তামান্নাকে হত্যার বিবরণ দিয়েছেন বলে জানান ওসি। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তামান্নার স্বামী মোতালেব হোসেন একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এখন বাড়িতেই থাকেন বলে তামান্নার বাবা অহিদ মিয়া জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন